Monday, May 21, 2018

বাণিজ্য মেলায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে মোশতাক আহমদ! প্রদ্বীপ দাস

বাণিজ্য মেলায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে মোশতাক আহমদ!
প্রদ্বীপ দাস Image may contain: 2 people

বিশ্বজিৎ গোস্বামীর আঁকা ছবিতে দেখা যায়, বাম পাশে বড় করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি, নিচে ডানপাশে খন্দকার মোশতাক আহমদ।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এর পর পরই হত্যাকারীদের পক্ষ অবলম্বন করে রাষ্ট্রপতির পদ নেন খন্দকার মোশতাক আহমদ। তারই ছবি এবার বাণিজ্য মেলায় বঙ্গবন্ধুর পাশে স্থান পেয়েছে।
১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে আয়োজিত বাণিজ্য মেলায় গিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ নামের প্যাভিলিয়নে এই চিত্র দেখা যায়।

প্যাভিলিয়নে বিশ্বজিৎ গোস্বামীর আঁকা একটি ছবিতে দেখা যায়, বাম পাশে বড় করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। ডানপাশে পোস্টারে লেখা ‘স্বাধীন বাংলা জয় বাংলা’। বঙ্গবন্ধুর ছবির নিচে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তারপর একে একে তাজউদ্দীন আহমদ, আবুল মনসুর আহমদ, এএইচএম কামারুজ্জামান, এএমজি ওসমানী এবং সর্বশেষ খন্দকার মোশতাক আহমদের ছবি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই স্টলের দায়িত্বরত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর কর্মকর্তা মোরশেদুল হক প্রিয়.কমকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বিষয়টি ভালো বলতে পারবে।’
পরে এ ব্যাপারে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি প্রিয়.কমকে বলেন, ‘আমি তো দেখিনি। ছবিটা দেখে পরে এ বিষয়ে কথা বলব।’
ছবির বর্ণনা দিয়ে চিত্র-২৩ এর বিবরণীতে লেখা রয়েছে, ‘২৫ মার্চ, ১৯৭১। রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানের সেনাবিহিনী, ট্যাংক-কামানসহ প্রচুর গোলা-বারুদ নিয়ে অতর্কিত নিরীহ মানুষের ওপর ঝাপিয়ে পড়ল। ২৫ মার্চ রাত ১১টা থেকে ৭২ ঘণ্টা ধরে ঢাকা শহরকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করল। হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করল। ভয়ে মানুষ যে যেদিকে পারল পালাতে লাগল। শেখ মুজিবকে পাক সেনারা বন্দি করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে গেল। এদিকে চলল সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে জ্বালাও-পোড়াও গুলি ও ধ্বংসলীলা। আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতারা জড়ো হলেন কুষ্টিয়ার মেহেরপুরে।’
চিত্রের বিবরণীতে আরো বলা হয়, ‘১৭ এপিল ১৯৭১। মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকুঞ্জে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে গঠন করলেন স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন রাষ্ট্রপতি। যেহেতু তিনি তখন পশ্চিম পাকিস্তানে বন্দি, তাই তার অবর্তমানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পেলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী হলেন তাজউদ্দীন আহমদ। অন্য মন্ত্রীরা হলেন ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও খন্দকার মোশতাক আহমদ। প্রধান সেনাপতি হলেন কর্নেল এম এ জি ওসমানী।’Image may contain: 1 person
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হবার পর মোশতাক আহমদ নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপতির দ্বায়িত্ব নেবার পর তিনি ইনডেমিনিটি বিল পাশ করেন। তিনি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ চালু করেন। একই সঙ্গে ‘বাংলাদেশ বেতার’ নাম পরিবর্তন করে ’রেডিও বাংলাদেশ’ করেন তিনি। তার আমলেই ৩ নভেম্বর চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয়। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ থেকে ৬ নভেম্বর ১৯৭৫ পর্যন্ত তিনি অঘোষিতভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালের ৫ নভেম্বর সেনাবিদ্রোহের মাধ্যমে তাকে অপসারণ করা হয়।

এদের কেন ক্রস ফায়ার দেয়া হয় না?

এদের কেন ক্রস ফায়ার দেয়া হয় না? 
জীবিত শিশু বদলে মৃত দেওয়ার দায় স্বীকার চাইল্ড কেয়ারের
ডা. এ এম মুজিবুল হক প্রিয়.কমকে বলেন, ‘তারা (চাইল্ড কেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ) তাদের ভুল স্বীকার করেছে। 
চট্টগ্রামে জীবিত শিশু বদলে মৃত শিশু দেওয়ার দায় স্বীকার করেছে বেসরকারি হাসপাতাল চাইল্ড কেয়ার। শোকজে জীবিত মেয়ে শিশু চুরি করে মৃত ছেলে শিশু দেওয়া এবং জালিয়াতি করে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এ এম মজিবুল হক বলেন, চাইল্ড কেয়ার কর্তৃপক্ষ তাদের দোষ স্বীকার করেছে। এ রকম ভবিষ্যতে আর হবে না বলে দুঃখ প্রকাশ করেছে।এর আগে গত ১৭ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে নোয়াখালী থেকে আসা রোকসানা আকতারের (২১) নবজাতক কন্যা শিশুকে রেখে এক ছেলে শিশুর মরদেহ দেওয়া হয়। বাচ্চাটিকে গোসল করানোর সময় বিষয়টি টের পায় পরিবার। ওই দিনই বাচ্চাটির মা চাইল্ড কেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে বাচ্চা ফেরত দিতে বাধ্য হয় চাইল্ড কেয়ার কর্তৃপক্ষ।এরপর ১৯ এপ্রিল এ ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে বেসরকারি ক্লিনিক পরিদর্শন কমিটির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এ এম মজিবুল হকের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন সিভিল সার্জন। এরপর তদন্ত কমিটি ২৩ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারায় পুনঃতদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। এ ঘটনার পুনঃতদন্তে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন কারসাজির বিষয়টি উঠে আসে। এরপর চাইল্ড কেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এ ঘটনার জবাব দিতে ২৬ এপ্রিল শোকজ করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এ এম মজিবুল হক।ডা. এ এম মুজিবুল হক প্রিয়.কমকে বলেন, ‘তারা (চাইল্ড কেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ) তাদের ভুল স্বীকার করেছে। এরপরও ভুক্তভোগী যদি চায়, তবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে।’শিশুটির চাচা আলমগীর হোসেন হিরু বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের অনেক হয়রানি করেছে। আমাদের অনেক টাকা খরচ হয়েছে। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’শিশুটির চাচা আলমগীর হোসেন হিরু বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের অনেক হয়রানি করেছে। আমাদের অনেক টাকা খরচ হয়েছে। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ 
শোকজে জীবিত মেয়ে শিশু চুরি করে মৃত ছেলে শিশু দেওয়া এবং জালিয়াতি করে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এ এম মজিবুল হক বলেন, চাইল্ড কেয়ার কর্তৃপক্ষ তাদের দোষ স্বীকার করেছে। এ রকম ভবিষ্যতে আর হবে না বলে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
এর আগে গত ১৭ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে নোয়াখালী থেকে আসা রোকসানা আকতারের (২১) নবজাতক কন্যা শিশুকে রেখে এক ছেলে শিশুর মরদেহ দেওয়া হয়। বাচ্চাটিকে গোসল করানোর সময় বিষয়টি টের পায় পরিবার। ওই দিনই বাচ্চাটির মা চাইল্ড কেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে বাচ্চা ফেরত দিতে বাধ্য হয় চাইল্ড কেয়ার কর্তৃপক্ষ।
এরপর ১৯ এপ্রিল এ ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে বেসরকারি ক্লিনিক পরিদর্শন কমিটির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এ এম মজিবুল হকের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন সিভিল সার্জন। এরপর তদন্ত কমিটি ২৩ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারায় পুনঃতদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। এ ঘটনার পুনঃতদন্তে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন কারসাজির বিষয়টি উঠে আসে। এরপর চাইল্ড কেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এ ঘটনার জবাব দিতে ২৬ এপ্রিল শোকজ করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এ এম মজিবুল হক। 
মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’শিশুটির চাচা আলমগীর হোসেন হিরু বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের অনেক হয়রানি করেছে। আমাদের অনেক টাকা খরচ হয়েছে। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

cross fire and human rights

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সফল সংগঠক ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রী পরিষদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী থাকাকালীন চোরাকারবারী ও মজুতদারদের বিরুদ্ধে এমনি একটি আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছিল এবং বঙ্গবন্ধু সে আইন পাস করেন নি এ কারনে যে অপরাধকে ঘৃণা করো অপরাধীকে নয়; ভাই অশিক্ষিত মানুষ এটুকুই বুঝি। ক্রস ফায়ারই মাদক নিয়ন্ত্রণের সমাধান নয়; সমাধান সামাজিক প্রচার মাধ্যমগুলোর অবহেলা এবং পুলিশ প্রশাসনের সীমাহীন অর্থ গ্রহণের লোভ।

Saturday, May 19, 2018

kamal sir bangla char

কোথায় যেনো আমাদের নৈতিকতাবোধ শালীনতাবোধ ও সহনশীলতাবোধের অবক্ষয় চলছে?
একদিন স্কুলে গিয়ে থাকলেও সে একদিনের শিক্ষায় আমার মন মানসিকতা চেতনা রুচি ইচ্ছাশক্তি অনুভূতি প্রাজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ, বন্ধু স্বজনের সাথে বসবাস তথা সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক সৌজন্যতাবোধ ও মূল্যবোধের তীক্ষ্ম অনুভূতি কাউকে তিক্ততায় বিষাক্ততায় রাগে ক্ষোভে দুঃখে প্রচন্ডভাবে ক্ষীপ্র হয়ে এমন কিছু বলতে বিবেকে বাধে, তারপরেও বলে ফেলি কারন আমরা মূর্খ।
কিন্তু মহান সংবিধানের সম্পাদনাকারী বিশ্ব বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখা পড়া করা একজন বিশিষ্ঠ আইনজীবী যদি আমাদের মতই অশ্রাব্য অশালীন অযাচিত অনাহুত অনাকাংখিত শব্দ চয়ন করে, তাহলে তাকে কিভাবে কোন ভাষায় কেমন বিশ্রি ভাবে আমাদের প্রজন্মের ছেলে রা গালি গালাজ করবে?
Image may contain: 2 people, text আমার মনে হয়-আমাদের সন্তানেরা ডঃ কামাল হোসেনের নিকট থেকে শিক্ষা নেবার জন্য অনুরোধ করে বলতে পারেঃ
"স্যার আমাদের আগামী ভবিষ্য সর্বস্ব অশালীন অশ্রাব্য শব্দ চয়নের জন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে দিন না? " আপনি না আমাদের জাতীয় সংবিধানের অন্যতম সম্পাদক?
দূরপ্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের যে সকল অসভ্য uncivilized দেশে কথায় কথায় bastard, son of bitch, fuck up etc etc শব্দ ব্যবহার করা হয়ে থাকে লজ্জা থাকলে আপনি বাংলা ছেড়ে সে দেশে চলে যেতেন। আপনার লজ্জা নাই স্যার?
আপনি বাংলায় বাস করবেন, বাংলায় আইন ব্যবসা করবেন আর শব্দ চয়ন করবেন পাশ্চাত্যের "জারজ" সংস্কৃতি? তাতো হয়না।
এখানে থাকতে হলে কথা বলতে হবে রবীন্দ্র নাথের ভাষায়, নজরুলের ভাষায়, বিবেকানন্দের ভাষায় চরৎচন্দ্রের ভাষায় কবি জসিম উদ্দিনের ভাষায়।
হালার পো হালা বাংলা "স্যার"