বাণিজ্য মেলায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে মোশতাক আহমদ!
প্রদ্বীপ দাস ![Image may contain: 2 people](https://scontent.fmle2-1.fna.fbcdn.net/v/t1.0-9/33096353_1945854145448890_6087398646318366720_n.jpg?_nc_cat=0&oh=4b87a23a334ae6a64901b02000c806a0&oe=5B973AF0)
![Image may contain: 2 people](https://scontent.fmle2-1.fna.fbcdn.net/v/t1.0-9/33096353_1945854145448890_6087398646318366720_n.jpg?_nc_cat=0&oh=4b87a23a334ae6a64901b02000c806a0&oe=5B973AF0)
বিশ্বজিৎ গোস্বামীর আঁকা ছবিতে দেখা যায়, বাম পাশে বড় করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি, নিচে ডানপাশে খন্দকার মোশতাক আহমদ।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এর পর পরই হত্যাকারীদের পক্ষ অবলম্বন করে রাষ্ট্রপতির পদ নেন খন্দকার মোশতাক আহমদ। তারই ছবি এবার বাণিজ্য মেলায় বঙ্গবন্ধুর পাশে স্থান পেয়েছে।
১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে আয়োজিত বাণিজ্য মেলায় গিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ নামের প্যাভিলিয়নে এই চিত্র দেখা যায়।
প্যাভিলিয়নে বিশ্বজিৎ গোস্বামীর আঁকা একটি ছবিতে দেখা যায়, বাম পাশে বড় করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। ডানপাশে পোস্টারে লেখা ‘স্বাধীন বাংলা জয় বাংলা’। বঙ্গবন্ধুর ছবির নিচে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তারপর একে একে তাজউদ্দীন আহমদ, আবুল মনসুর আহমদ, এএইচএম কামারুজ্জামান, এএমজি ওসমানী এবং সর্বশেষ খন্দকার মোশতাক আহমদের ছবি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই স্টলের দায়িত্বরত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর কর্মকর্তা মোরশেদুল হক প্রিয়.কমকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বিষয়টি ভালো বলতে পারবে।’![](https://scontent.fmle2-1.fna.fbcdn.net/v/t1.0-9/33203926_1945856852115286_7042596795968389120_n.jpg?_nc_cat=0&oh=b284ee87d512d3c736e67e182789748c&oe=5B825952)
![](https://scontent.fmle2-1.fna.fbcdn.net/v/t1.0-9/33203926_1945856852115286_7042596795968389120_n.jpg?_nc_cat=0&oh=b284ee87d512d3c736e67e182789748c&oe=5B825952)
পরে এ ব্যাপারে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি প্রিয়.কমকে বলেন, ‘আমি তো দেখিনি। ছবিটা দেখে পরে এ বিষয়ে কথা বলব।’
ছবির বর্ণনা দিয়ে চিত্র-২৩ এর বিবরণীতে লেখা রয়েছে, ‘২৫ মার্চ, ১৯৭১। রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানের সেনাবিহিনী, ট্যাংক-কামানসহ প্রচুর গোলা-বারুদ নিয়ে অতর্কিত নিরীহ মানুষের ওপর ঝাপিয়ে পড়ল। ২৫ মার্চ রাত ১১টা থেকে ৭২ ঘণ্টা ধরে ঢাকা শহরকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করল। হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করল। ভয়ে মানুষ যে যেদিকে পারল পালাতে লাগল। শেখ মুজিবকে পাক সেনারা বন্দি করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে গেল। এদিকে চলল সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে জ্বালাও-পোড়াও গুলি ও ধ্বংসলীলা। আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতারা জড়ো হলেন কুষ্টিয়ার মেহেরপুরে।’
চিত্রের বিবরণীতে আরো বলা হয়, ‘১৭ এপিল ১৯৭১। মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকুঞ্জে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে গঠন করলেন স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন রাষ্ট্রপতি। যেহেতু তিনি তখন পশ্চিম পাকিস্তানে বন্দি, তাই তার অবর্তমানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পেলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী হলেন তাজউদ্দীন আহমদ। অন্য মন্ত্রীরা হলেন ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও খন্দকার মোশতাক আহমদ। প্রধান সেনাপতি হলেন কর্নেল এম এ জি ওসমানী।’![Image may contain: 1 person](https://scontent.fmle2-1.fna.fbcdn.net/v/t1.0-9/33146731_1945857125448592_709678586147110912_n.jpg?_nc_cat=0&oh=fc46b39822fdde3ddcca4cad8aa11976&oe=5BC2C99D)
![Image may contain: 1 person](https://scontent.fmle2-1.fna.fbcdn.net/v/t1.0-9/33146731_1945857125448592_709678586147110912_n.jpg?_nc_cat=0&oh=fc46b39822fdde3ddcca4cad8aa11976&oe=5BC2C99D)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হবার পর মোশতাক আহমদ নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপতির দ্বায়িত্ব নেবার পর তিনি ইনডেমিনিটি বিল পাশ করেন। তিনি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ চালু করেন। একই সঙ্গে ‘বাংলাদেশ বেতার’ নাম পরিবর্তন করে ’রেডিও বাংলাদেশ’ করেন তিনি। তার আমলেই ৩ নভেম্বর চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয়। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ থেকে ৬ নভেম্বর ১৯৭৫ পর্যন্ত তিনি অঘোষিতভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালের ৫ নভেম্বর সেনাবিদ্রোহের মাধ্যমে তাকে অপসারণ করা হয়।
No comments:
Post a Comment